বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র।

বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
- রাজধানী: ঢাকা
- আয়তন: ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার
- জনসংখ্যা: প্রায় ১৭ কোটি (বিশ্বের ৮ম জনবহুল দেশ)
- ভাষা: বাংলা (জাতীয় ভাষা), ইংরেজি (প্রশাসনিক ভাষা)
- মুদ্রা: বাংলাদেশি টাকা (BDT)
ইতিহাস:
- স্বাধীনতা: ২৬ মার্চ ১৯৭১ (পাকিস্তান থেকে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে)।
- বাংলা ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার অধিকার রক্ষায় আত্মত্যাগ, যা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত।
ভূগোল ও জলবায়ু:
- প্রধান নদী: পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র।
- প্রাকৃতিক সম্পদ: প্রাকৃতিক গ্যাস, উর্বর মাটি, চা, মৎস্য।
- জলবায়ু: উপক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু; বর্ষা, গ্রীষ্ম ও শীতকাল প্রধান মৌসুম।
অর্থনীতি:
- মুখ্য খাত: কৃষি (ধান, পাট, চা), তৈরি পোশাক শিল্প (বিশ্বের ২য় বৃহত্তম রপ্তানিকারক), রেমিট্যান্স।
- জিডিপি প্রবৃদ্ধি: গড়ে ৬-৭% (সাম্প্রতিক বছরগুলোতে)।
সংস্কৃতি:
- উৎসব: পহেলা বৈশাখ, ঈদ, দুর্গাপূজা, বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর)।
- সাহিত্য ও সঙ্গীত: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, লালন শাহের উত্তরাধিকার।
- ঐতিহ্য: নকশি কাঁথা, মৃৎশিল্প, লোকসংগীত।
চ্যালেঞ্জ:
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ: বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি।
- সামাজিক সমস্যা: জনসংখ্যার চাপ, দারিদ্র্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:
- SAARC, BIMSTEC, OIC, জাতিসংঘ-এর সদস্য।
- মূল রপ্তানি অংশীদার: যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
১. জনসংখ্যা ও অর্থনীতি:
- আনুমানিক জনসংখ্যা: ~১৭.৩ কোটি (বিশ্বের ৮ম জনবহুল দেশ হিসাবে অবস্থান ধরে রাখবে)।
- জিডিপি প্রবৃদ্ধি: ৭-৭.৫% (উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার লক্ষ্য, তৈরি পোশাক শিল্প, রেমিট্যান্স ও ডিজিটাল অর্থনীতির ভূমিকা)।
- মাথাপিছু আয়: ~৩,২০০(২০২৩−এ৩,২০০(২০২৩−এ২,৭৫০ এর তুলনায় বৃদ্ধি)।
- লক্ষ্যমাত্রা: ২০৪১ সালের মধ্যে “উন্নত দেশ” হওয়ার পথে অগ্রগতি।
২. অবকাঠামো ও মেগা প্রকল্প:
- পদ্মা সেতুর প্রভাব: যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে মাইলফলক।
- মেট্রোরেল সম্প্রসারণ: ঢাকার মেট্রোরেলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ চালু হওয়ার সম্ভাবনা।
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: ২০২৫ নাগাদ প্রথম ইউনিট চালু হতে পারে (২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন)।
- স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১: ডিজিটাল পরিষেবা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ও ৫G প্রযুক্তির প্রসার।
৩. জলবায়ু ও পরিবেশ:
- জলবায়ু সংকট মোকাবিলা: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও লবণাক্ততার প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে চাপ।
- নবায়নযোগ্য জ্বালানি: সৌরশক্তি প্রকল্পের সম্প্রসারণ (২০৪১ সালের মধ্যে ৪০% নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্য)।
- গ্রিন গার্মেন্টস শিল্প: টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পোশাক উৎপাদনে বিশ্বব্যাপী চাহিদা বৃদ্ধি।
৪. সামাজিক উন্নয়ন:
- শিক্ষা: প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ডিজিটাল শিক্ষার সম্প্রসারণ, ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ে জোর।
- স্বাস্থ্য: ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ (UHC) অর্জনের প্রচেষ্টা, কমিউনিটি ক্লিনিকের আধুনিকীকরণ।
- লিঙ্গ সমতা: নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ ৪০% ছাড়ানোর লক্ষ্য (২০২৩-এ ~৩৬%)।
People also ask :
বাংলাদেশের পুরো নাম কি?

বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ কী ধরনের দেশ?
২০২৪ সালে জাতিসংঘ যদি ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশ তখন হবে নিম্ন-মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশ। জাতিসংঘের হিসাবে বিশ্বে তিন ধরনের দেশ রয়েছে-উন্নত, উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত (এলিডিসি)। জাতিসংঘ হিসাবটি করে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা বা সংকট সূচক অনুযায়ী।
বাংলাদেশের আদি নাম কী ছিল?
পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব বাংলা নামটি দ্বারা ঐতিহাসিকভাবে অবিভক্ত বঙ্গ অঞ্চলের পূর্বাঞ্চলকে বোঝানো হয়ে থাকে। ১৯০৫ থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের বঙ্গ প্রদেশের পূর্বাংশ পূর্ববঙ্গ নামে পরিচিত ছিল। পূর্ববঙ্গ বলতে সেই সময় যে এলাকাকে বুঝানো হত তা বর্তমানে বাংলাদেশ নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ৫টি ইংরেজি বাক্য কী কী?
1. Bangladesh is the most beautiful country in Asia.
2. Bangladesh is called the land of thirteen hundred rivers.
3. The area of Bangladesh is 1 lakh 47 thousand 570 square kilometers.
4. The current population is more than 16 crores.
5. Bangladesh is an independent sovereign country.
কে বাংলাদেশ নামকরণ করেন?
পরে ১৯৬৯ সালের ৫ই ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দির ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, “আমাদের স্বাধীন দেশটির নাম হবে বাংলাদেশ“। ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করেন। পরে শেখ মুজিবুর রহমান “বাংলাদেশ” নামটি প্রস্তাব করলে তাতে সবাই একবাক্যে সায় দেন।
বাংলা অঞ্চল কোথায় এবং কেমন?
বঙ্গ, বাংলা, বাঙ্গালা, বঙ্গাল, বঙ্গদেশ বা বাংলা দেশ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার উত্তরপূর্বে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক এবং ভৌগোলিক অঞ্চল। এই বঙ্গ বর্তমানে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং ভারতের দুইটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার সম্পূর্ণ অংশ এবং আরেকটি রাজ্য আসামের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত।
বাংলাদেশে কয়টি রাজ্য আছে?
বাংলাদেশে কোন অঙ্গরাজ্য নেই। এখানে ৬৪ টি জেলা আছে।
“বঙ্গ” শব্দের অর্থ কী?
#বঙ্গ শব্দের অর্থ হলো #কার্পাসতুলো। #আল সংস্কৃত শব্দের মানে হল #সমৃদ্ধ
বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর একটি দেশ। এখানে কিছু অসাধারণ সৌন্দর্যের উদাহরণ দেওয়া হলো:
১. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত: বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত (১২০ কিমি), সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মোহনীয় দৃশ্য।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ: প্রবাল দ্বীপ, নির্মল নীল জল ও নারকেল গাছের সারি (“নীল দ্বীপ” নামে পরিচিত)।
সুন্দরবন: বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণের আবাস (UNESCO বিশ্ব ঐতিহ্য)।
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট: বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন (সিলেট), নৌকায় ভ্রমণের মজা।
বান্দরবানের নীলগিরি: পাহাড়ি চূড়া থেকে মেঘের রাজ্য দেখা, মেঘে ঢাকা সবুজ উপত্যকা।
২. ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা:
ষাট গম্বুজ মসজিদ (বাগেরহাট): টেরাকোটা স্থাপত্যের অনবদ্য নিদর্শন (UNESCO বিশ্ব ঐতিহ্য)।
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার (নওগাঁ): প্রাচীন সভ্যতার প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ (৮ম শতাব্দী)।
লালবাগ কেল্লা (ঢাকা): মুঘল আমলের অপূর্ণাঙ্গ দুর্গ, শাহী মসজিদ ও পরীর দরজা।
কান্তজিউ মন্দির (দিনাজপুর): তেরাকোটার নকশায় মোড়া হিন্দু মন্দির।
৩. পাহাড়-নদী-হ্রদ:
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ: কৃত্রিম হ্রদে নৌকাভ্রমণ ও পাহাড়ি গ্রামের সৌন্দর্য।
জাফলং (সিলেট): পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ জল, ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশ।
বগা লেক (বান্দরবান): পাহাড়ের কোলে নীলজলের হ্রদ, ট্রেকিংয়ের জনপ্রিয় স্থান।
৪. ঋতুভিত্তিক সৌন্দর্য:
শীতকালে নুহাশ পল্লীর শিউলি ফুল: সাদা শিউলি ফুলের মাতামাতি।
বর্ষায় হাওর অঞ্চল (সুনামগঞ্জ): জলমগ্ন ধানক্ষেত, নৌকায় ভেসে থাকা গ্রাম।
শরতে কাশফুলের রাজ্য (পদ্মা নদীর চর): সাদা কাশফুলে ঢেকে যাওয়া বিস্তীর্ণ প্রান্তর।
৫. সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য:
পাহাড়ি উপজাতিদের জীবনযাত্রা (চট্টগ্রাম Hill Tracts): রূপালী জুম ক্ষেত, ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও হস্তশিল্প।
নৌকাবাইচ (বরিশাল, নড়াইল): স্থানীয় উৎসবে রঙিন নৌকার প্রতিযোগিতা।
পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা (ঢাকা): রঙ, সংগীত ও উৎসবে ভরা বৈশাখী উদযাপন।
৬. অদেখা গন্তব্য:
টাঙ্গুয়ার হাওর (সুনামগঞ্জ): শীতকালে পরিযায়ী পাখির কলতান (“বাংলাদেশের বার্ড paradises”)।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান (সিলেট): ঘন বৃষ্টিবন, উল্লুক ও rare উদ্ভিদের সমাহার।
মন্তব্য:
বাংলাদেশের সৌন্দর্য কেবল দর্শনীয় স্থানেই সীমিত নয়, এর মানুষ, সংস্কৃতি ও সহজ-সরল গ্রামীণ জীবনযাপনও এক অনন্য মহিমা। প্রকৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় সচেতনতা এই সৌন্দর্যকে টিকিয়ে রাখার চাবিকাঠি। 🌿
Good https://is.gd/N1ikS2